তুরস্কের ইজমির শহরের কাছে সোমবার একটি পুলিশ স্টেশনে বন্দুক হামলায় দুই কর্মকর্তা নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া এক্সে লিখেছেন, ‘বালচোভা জেলায় সংঘটিত এই নৃশংস হামলায় দুই কর্মকর্তা নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত ১৬ বছর বয়সী ই.বি.কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও তদন্ত শুরু হয়েছে।’
ঘটনাস্থলে তুর্কি গণমাধ্যমকে ইজমিরের গভর্নর সুলেইমান এলবান জানান, সন্দেহভাজন কিশোর পুলিশ স্টেশনের একই সড়কের বাসিন্দা ও গ্রেপ্তারের সময় আহত হয়েছে। ওই কিশোরকে ‘আহত অবস্থায়’ আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে এলবান ব্যক্তিমালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন একজন ১৬ বছর বয়সী, যে একই এলাকাতে থাকে। তার কোনো অপরাধের রেকর্ড বা পূর্বে গ্রেপ্তারের ইতিহাস নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রচুর খালি শটগানের খোসা দেখেছি... এবং অনেক অব্যবহৃত কার্তুজও ছিল।
সন্দেহভাজন তার বাবার ১০ বছর আগে কেনা শটগান ব্যবহার করেছে।’
ডিএইচএ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, হামলাকারী ‘একটি লম্বা ব্যারেলের বন্দুক’ ব্যবহার করেছে। অন্যদিকে এনটিভি অস্ত্রটিকে ‘পাম্প-অ্যাকশন শটগান’ বলে বর্ণনা করেছে।
যদিও পুলিশ স্টেশনে হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
গেরসেক গুনদেম সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ফোনে ধারণকৃত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কালো টপ ও হালকা রঙের প্যান্ট পরিহিত মুখোশ পরা একজন হাতে রাইফেল নিয়ে ফুটপাথ দিয়ে দৌড়াচ্ছেন ও পরে একটি ভবনে প্রবেশ করছে।
অন্য একটি বহুল প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, সন্দেহভাজন হামলাকারী ফুটপাতে শুয়ে আছে ও প্যারামেডিকরা তাকে সেবা দিচ্ছেন। সে সচেতন ছিল বলে মনে হয়েছে, কিন্তু তার প্যান্টের পেছনের অংশ রক্তে ভেজা ছিল ও চারপাশে একাধিক বুলেটের খোসা পড়ে ছিল।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, একদল সাধারণ মানুষ সন্দেহভাজনকে টেনে পুলিশ ভ্যানে তুলতে সহায়তা করছেন।
পুলিশ দ্রুত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে বলে গণমাধ্যম জানিয়েছে।
বিচারমন্ত্রী ইয়িলমাজ তুঞ্চ বলেছেন, ইজমিরের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটার আট সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন। তিনি এক্সে লিখেছেন, অনেক মন্ত্রী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।